বৃহস্পতিবার, ১৯ Jun ২০২৫, ০৮:২৮ অপরাহ্ন

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা

১৯৬৮ সালের ১৯ জুন ঢাকা সেনানিবাসের ভেতরে ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য’ শিরোনামে একটা মামলার বিচার শুরু হয়। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আসামী’রা ভারতের দেওয়া অস্ত্র ও অর্থের সাহায্যে পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান থেকে বিছিন্ন করা এবং ভারতের স্বীকৃতি নিয়ে একটি স্বাধীন সরকার গঠনের ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এটা গণমাধ্যমে ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’ হিসেবে পরিচিতি পায়। মামলায় শেখ মুজিবকে প্রধান করে ২৫জনকে আসামী করা হয়।
সেই সময়, সিরাজুল আলম খানের পরামর্শে ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রউফ ছাত্র ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে তোলেন। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে ছয় দফার সঙ্গে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের অন্যান্য দাবি জুড়ে দিয়ে ১১ দফার রূপরেখা তৈরি করা হয। ১১ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে সারা বাংলায় ছাত্রসমাজের নেতৃত্বে গণ-আন্দোলন গড়ে ওঠে এবং গণ-অভ্যূত্থানের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ছিল মিথ্যা ও বানোয়াট। যদিও শেখ মুজিব ভারতের সাথে একটা সমঝোতা চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টিকে পাত্তা দেয়নি। ’৭০-এর নির্বাচনের পর ভারত আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামকে গুরুত্ব দেয়। উল্লেখ্য যে, ’৬৯-এর গণঅভুত্থানের পিছনে মাওলানা ভাসানীর অবদানও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

 

শাফায়েত জামিল রাজীব
-সম্পাদক
একুশে টাইমস্

 

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana